শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৮ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
লবণযুক্ত চামড়ার বেচাকেনা শুরু

লবণযুক্ত চামড়ার বেচাকেনা শুরু

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ কোরবানির পশুর লবণযুক্ত চামড়া কেনাবেচা শুরু হয়েছে। তবে ট্যানারিগুলো সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক কমে কিনছে বলে অভিযোগ করেছেন আড়তদাররা। যদিও ট্যানারি মালিকদের সংগঠনের নেতারা নির্ধারিত দরেই কিনবেন বলে আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন। গতকাল রাজধানীর লালবাগের পোস্তার আড়তে প্রতিটি লবণযুক্ত বড় গরুর চামড়া ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, মাঝারি চামড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ও ছোট চামড়া ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে বলে জানান আড়তদাররা। আব্বাস উদ্দিন নামে পোস্তার একজন আড়তদার জানান, এখনও পুরোপুরি বেচাকেনা শুরু হয়নি। আরও কয়েকদিন পরে বেচাকেনা জমে উঠবে। তখন দর ওঠানামা করতে পারে। তবে নগদে বিক্রির চেয়ে বাকিতে বিক্রির ক্ষেত্রে দাম এর চেয়ে বেশি হবে। সরকার নির্ধারিত দর অনুযায়ী এবার ঢাকায় কোরবানির প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। ৩৫ টাকা বর্গফুট ধরলে লবণযুক্ত একটি ২০ বর্গফুট গরুর চামড়া দাম পড়ে ৭০০ টাকা। এখন তা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। পোস্তার আড়তে ঈদের দিন এই চামড়া ১০০ থেকে ২০০ টাকায় কিনে লবণ ও অন্যান্য খরচ মিলে ১০০ থেকে দেড়শ’ টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে। নগদ টাকায় কম লাভে বিক্রি করছেন আড়তদাররা। আর নির্ধারিত দরে ৪০ বর্গফুটের লবণযুক্ত বড় চামড়ার দর ১৬০০ টাকা হয়। এই আকারের চামড়া এখন এক হাজার টাকার কমেই ট্যানারিগুলো কিনছে বলে জানান আড়তদাররা। এতে একদিকে ট্যানারি মালিক কম দামের সুবিধা পেয়েছেন; অন্যদিকে আড়তদাররা লাভ পাচ্ছেন। অথচ এই চামড়ার হক গরিবের। তারা বঞ্চিত হয়েছেন। কোরবানিদাতারা চামড়ার দর পাননি। আবার পেলেও তা খুবই সামান্য। কোনো কোনো এলাকায় ক্রেতাই মেলেনি। এ কারণে অনেকে ফেলে দিয়েছেন।
কাঁচা চামড়া আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আফতাব খান বলেন, বেশিরভাগ চামড়া সংরক্ষণ হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু ট্যানারি চামড়া কেনা শুরু করেছে। তবে এখনও পুরোদমে কেনাবেচা চলছে না, এ কারণে দর বলেনি। তিনি বলেন, আগামী শনিবার থেকে আড়তের চামড়া পুরোদমে কেনা শুরু হবে। তখন দর জানা যাবে। তিনি আশা করছেন সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই ট্যানারিগুলো চামড়া কিনবে। প্রতি বছর কাঁচা চামড়ার আড়তদাররা দাম পান না। এবারও না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, পোস্তার আড়তদাররা প্রায় তিন লাখ চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করেছেন। আজ (বুধবার) কিছু চামড়া বেচাকেনা হয়েছে। আকিজ গ্রুপের একটি ট্যানারি প্রতিটি বড় চামড়া ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা দর দিয়েছে। যদিও ৬০০ টাকায় কেনা এই চামড়া সংরক্ষণে ২০০ টাকা খরচ আছে। এর সঙ্গে প্রতিটি চামড়ায় ১০০ থেকে দেড়শ’ টাকা মুনাফা দিলে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায় কেনার কথা। কিন্তু নগদ টাকায় কেনায় কম দামে দিয়েছেন আড়তদাররা। রিলায়েন্স ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান বলেন, এবার ঢাকার রক্তমাখা চামড়া ৪০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে কিনেছেন তারা। বৃহস্পতিবার পোস্তার আড়ত থেকে কিনবেন। শুক্রবার নাটোরের চামড়া কিনবেন। শনিবার কুমিল্লায় কিনবেন। এ ছাড়া আগামী দু-একদিনে কিশোরগঞ্জসহ অন্য জেলার হাট থেকে কেনা শুরু করবেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার ভালো নেই। করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত রপ্তানি অর্ডার মেলেনি। এ কারণে কারখানায় অনেক চামড়া মজুদ রয়েছে। এর পরও ঝুঁকি নিয়ে চামড়া কিনছেন। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, লবণযুক্ত চামড়া আগামী শনিবার থেকে বেশিরভাগ ট্যানারি কেনা শুরু করবে। কারণ এক সপ্তাহ পার হলে চামড়ায় ভালোভাবে লবণ লাগবে। এর পরেই কিনবেন অনেকে। এবার সরকার দর কমিয়ে নির্ধারণ করেছে। সরকার নির্ধারিত দরেই ট্যানারিগুলো কিনবে। এখন অল্প পরিমাণে কোথাও বিক্রি হতে পারে। তবে শনিবার থেকে চামড়া কেনাবেচার দর ঠিক বোঝা যাবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com